যে অবস্থায় অজু ফরজ | অযুর দোয়া | ওযুর নিয়ত

যেসব কারণে অজু করতে হয়


অজু মোট তিন প্রকার। ফরজ, ওয়াজিব ও মুস্তাহাব। তবে অজু না থাকা ব্যক্তির জন্য চার অবস্থায় অজু ফরজ হয়। আবার কিছু সময়ে অজু করা ওয়াজিব ও মুস্তাহাব।

১. প্রত্যেক নামাযের ক্ষেত্রে অযু ফরয, সে নামায ফরয হােক বা ওয়াজিবই হােক, সুন্নাত বা নফলই হােক ।

২. যানাযার নামাযে অযু করা ফরয ।

৩. সিজদায়ে তিলাওয়াতের অযু করা ফরজ।

অজু

আরো পড়ুন ,…..

INTERCOURSE | স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, দোয়া, আগে ওপরে করণীয়

এক স্ত্রী দুই স্বামী হারাম কেন ?

KALEMA | কালেমাঃ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিও সহ

BOOKS / ইসলামিক বই PDF : ISLAMIC BOOK PDF BANGLA

SEX VIDEO | পর্ণগ্রাফি দেখার ফলে গোসল ফরজ হয় কিনা

যেসব অবস্থায় ওযু ওয়াজিব:

১. কাবা শরীফ তাওয়াফের ক্ষেত্রে।

২. কুরআন স্পর্শ করার ক্ষেত্রে।

যেসব কারণে অজু সুন্নত:

১. ঘুমানাের পূর্বে অযু করা সুন্নাত।

২. গোসলের পূর্বে অযু করা সুন্নাত

যে যে অবস্থায় অজু মুস্তাহাব:

১, আযান ও তাকবীর অজু মুস্তাহাব।

২. খুতবা পাঠের সময়-জুমার খুত্বা হােক বা বিবাহের খুত্ব।

৩, দ্বীনি শিক্ষা দেয়ার সময়কালে।

৪. যিকরে ইলাহীর সময়ে।

৫. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পরে।

৬. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পরে।

৭. রাসূল (সা)-এর রওযা মুবারক যিয়ারতকালে।

৮. আরফার মাঠে অবস্থানের সময়কালে

৯. সাফা ও মারওয়া সাঈ তথা দৌড়ানোর সময়কালে।

১০. জানাবাত অবস্থায় খাবার পূর্বে।

১১. হায়িয-নিফাসের সময় প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে।

১১. সর্বদা অযু অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব বলে গণ্য।

ওযুর ফরয সমূহ:

অযুর ফরয চারটি। এ চারটির নাম মূলত ওযু। এ চারের ক্ষেত্রে কোন একটি বাদ গেলে বা চুল পরিমাণ কোন স্থান শুকনা থাকলে অযূ হবে। যেমন ঃ

১, একবার সমস্ত চেহারা ধুয়া। অর্থাৎ কপালের উপর মাথার চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ এবং এক কানের গোড়া থেকে অন্য কানের গােড়া পর্যন্ত সমস্ত মুখমণ্ডল ধুয়া ফরয।

২. দু’হাত অন্তত একবার কুনুই পর্যন্ত ধুয়া।

৩. একবার মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা।

৪. একবার দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নেয়া।

অজু করার সুন্নাত পদ্ধতি:

প্রথমে অজুর নিয়ত বা সংকল্প করা। সম্ভব হলে উঁচু স্থানে কিবলামুখী হয়ে বসা। তারপর বিসমিল্লাহ অথবা বিশেষ দোয়া পাঠ করা। অতঃপর উভয় হাতের কবজিসহ তিনবার ধোয়া।

এরপর মিসওয়াক বা ব্রাশ করা। তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো মুখ তিনবার ধোয়া। দাড়ি ঘন হলে গোড়ায় পানি পৌঁছানো জরুরি নয়, পাতলা হলে অবশ্যই তা করতে হবে।

তারপর উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধোয়া ও দুই হাতের আঙুল খিলাল করা (আঙুলের ফাঁকে আঙুল প্রবেশ করিয়ে ঘষে ধৌত করা)। অতঃপর পুরো মাথা একবার মাসেহ করা, উভয় কানের বাইরে ও

ভেতর একবার মাসেহ করা এবং ঘাড় বা গর্দান মাসেহ করা। সর্বশেষ উভয় পায়ের টাকনুসহ তিনবার ধোয়া এবং উভয় পায়ের আঙুল খিলাল করা। অজুর শেষে কালিমা শাহাদাত পড়া।’ (ফাতাওয়ায়ে শামি)।

ওযুর নিয়ত

ওযুর নিয়ত: উচ্চারনঃ

নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জায়া লিরাফয়িল হাদাসি ওয়া ইস্তিবাহাতা লিছছালাতি ওয়া তাকাররুবান ইলাল্লাহি তা’য়ালা।


অর্থ:

আমি ওযুর নিয়ত করছি যে নাপাকি দূর করার জন্য বিশুদ্ধরূপে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য এবং আল্লাহ তা’য়ালা।

অযুর দোয়া


বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম। ওয়াল হামদুলিল্লাহি আলা দ্বীনিল ইসলাম। আল ইসলামু হাক্কুন। ওয়াল কুফরু বাতিলুন। ওয়াল ইসলামু নুরুন। ওয়াল কুফরু জুলমাত।


অর্থ: মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করছি। আমি দ্বীন ইসলামের উপর আছি। তাই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা।নিশ্চই ইসলাম সত্য ও কুফুর বাতিল এবং ইসলাম আলো ও কুফুর অন্ধকার।

অজুর শেষের দোয়া


أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
বাংলা উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’

অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম, মিশকাত)

https://www.youtube.com/watch?v=XPTYljKh9yw

Ablution is obligatory in the following situations:

Ablution is obligatory for every prayer, whether that prayer is obligatory or wajib, sunnah or nafal.

It is obligatory to perform ablution in the funeral prayer.

It is obligatory to perform ablution of recitation in sijda.

Conditions in which ablution is obligatory:

In the case of Kaaba Sharif Tawaf.

In touching the Qur’an.

Reasons for which ablution is circumcision:

It is Sunnah to perform ablution before sleeping.

It is Sunnah to perform ablution before bathing

Ablution is mustahab in that situation:

1, Adhan and Takbeer ablution mustahab.

Time of Khutba Recitation – Jumma Khutba or Marriage Khutba.

3, During the period of religious education.

Because in the time of God.

After waking up.

After bathing the deceased.

Fasting of the Prophet (PBUH) during the Mubarak Pilgrimage.

During Arfa’s field stay

During Safa and Marwa Sai i.e. running.

Before meals in the state of knowledge.

At the time of every prayer during Hajj-Nifas.

It is considered mustahab to always perform ablution.

Obligations of ablution:

There are four obligations of ablution. The name of these four is basically ablution. If any one of these four is left out or if there is any place where the hair is dry, ablution will be performed. For example:

Once all the faces are washed. That is, from the root of the hair on the forehead to the bottom of the snout and from the root of one ear to the tip of the other ear, it is obligatory to wash the entire face.

Wash both hands at least once up to the elbows.

Maseh a quarter of the head once.

Wash both feet up to the ankle once.

2 comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *