Surah Nasr | সূরা আন নাসর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
(1)
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
ইযা জা- আনাসুরুল্লহি ওয়াল ফাতহু।
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়. Surah Nasr


(2)
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
ওয়ারা আইতান্‌না-সা ইয়াদখুলুউনা, ফি দ্বীনিল্লাহি আফওয়া-জা।
এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,


(3)
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগ ফিরহ্‌; ইন্নাহু কা-না তাও-ওয়া-বা।
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। Surah Nasr

Surah Nasr

Surah Nasr mp3 download

আরো পড়ুন ,…..

তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন

নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)

ইসলামিক উক্তি | ALLAH LOVE QUOTES 140+

Surah Nasr | সূরা আন নাসর এর তফসীর


সূরা আন নাসর কুরআন কারীমের এক চতুর্থাংশের সমতুল্য।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উবাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেনঃ- সর্বশেষ কোন সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে তা কি তুমি জান? উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা, Surah Nasr

সূরা ইযাজাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু’ (সর্বশেষ অবতীর্ণ হয়েছে।) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তখন বললেনঃ “তুমি সত্য বলেছো।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আইয়ামে তাশরীকের (১১ই, ১২ইও ১৩ই যিল হজ্ব তারিখের) মধ্যভাগে সূরা আন নাসর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হলে তিনি বুঝতে পারেন যে,

এটা বিদায়ী সূরা। সুতরাং তখনই তিনি সওয়ারী তৈরি করার নির্দেশ দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর তিনি তার সুপ্রসিদ্ধ খুৎবাহ প্রদান করলেন। (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বাযার (রঃ) এবং হাফিয বারহাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন সূরা নাসর অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে ডেকে বলেনঃ “আমার পরলোক গমনের খবর এসে গেছে।” এ কথা শুনে হযরত ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। তারপরই তিনি হাসতে লাগলেন।

তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “আমার আব্বার (সঃ) পরলোক গমনের সময় নিকটবর্তী হওয়ার খবর শুনে আমার কান্না এসেছিল। কিন্তু আমার কান্নার সময় তিনি আমাকে বললেনঃ

“তুমি ধৈর্য ধারণ করে। আমার পরিবার-পরিজনের মধ্যে তুমিই সর্ব প্রথম আমার সাথে মিলিত হবে।” (এ হাদীসটি ইমাম বায়হাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। সুনানে নাসায়ীতে এটা বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু তাতে হযরত ফাতিমার (রঃ) উল্লেখ করা হয়নি)

Surah Nasr | ফজিলত :


একদা এক ইহুদী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল (আ.) মহানবী (সা.)-কে বলেন যে, এক ইহুদী তাকে জাদু করেছে

এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কুপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে। মহানবী (সা.) সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন।

সেখানে গিয়ে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল। তখন তিনি সূরা নাস ও ফালাক দুইটি একসঙ্গে পড়ে ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা

ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহি বুখারি)

ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তে ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটি সূরা তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সূরা পড়তে হবে। (আবু দাউদ হা: ১৩৬৩)

Surah Nasr | কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা


১. এই সূরাতে প্রথম আয়াতে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের কথা বলা হয়েছে। কথাটি আপাতত দৃষ্টিতে ছোট দেখালেও এর তাৎপর্য অনেক বেশি। এখানে আল্লাহর সাহায্য বলতে, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধসমূহে আল্লাহর সাহায্যকে বুজানো হয়েছে। যেমন বদর, ওহোদ, খন্দক, খায়বার প্রভৃতি যুদ্ধে।

পরবর্তীতে বিজয়ের (মক্কা) কথা বলা হয়েছে। সুতরাং, আমরা যখন সাহায্য চাইবো আল্লাহর কাছেই চাইবো। কারণ আপনি যতই শক্তিশালী হন না কেন, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আপনি জয়ী লাভ করতে পারবেন না।

২. মক্কা বিজয় তৎকালীন আরবে খুবই অপরিহার্য ছিল। মক্কা বিজয়ের পরের বছর অর্থাৎ ৯ম ও ১০ম হিজরীকে ইতিহাসে ‘প্রতিনিধি দলসমূহের আগমনের বছর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলসমূহের সংখ্যা ৭০ এর অধিক। ঐ সময়ে আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকেরা দলে দলে মদিনায় এসে ইসলাম কবুল করেছিল।

মক্কা বিজয়ের পরে দলে দলে ইসলাম কবুলের অন্যতম কারণ ছিল বিশ্বাসগত। কারণ লোকেরা তখন বলতে থাকলো, যে হারাম শরীফকে আল্লাহ্ হস্তীওয়ালাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন, সেই হারামের তত্ত্বাবধায়ক তার কওমের উপর যখন মুহাম্মাদ জয়লাভ করেছেন, তখন তিনি অবশ্যই সত্য নবী।

৩. সূরাটির শেষ আয়াতটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। এই আয়াতে পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনাকে একত্রিত করা হয়েছে। এটি হল আল্লাহর প্রথম নির্দেশ। অতঃপর দ্বিতীয় নির্দেশটি হল, ইস্তিগফার কর।

ইস্তিগফার’ অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা। উক্ত আয়াতে আল্লাহ রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) পবিত্রতা ও প্রশংসা এবং ইস্তিগফার করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের উচিত আল্লাহর যিকির ও বেশি বেশি ইস্তিগফার করা।

রাসূল (ছাঃ) বলেন,

لَنْ يُنَجِّىَ أَحَدًا مِنْكُمْ عَمَلُهُ. قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ وَلاَ أَنَا، إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِىَ اللهُ بِرَحْمَتِهِ
‘তোমাদের কেউ তার আমলের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ছাহাবীগণ বললেন, আপনিও নন হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, না। যদি না আল্লাহ আমাকে তাঁর রহমত দ্বারা আবৃত করেন’।

উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায়, আমাদের আমল না বরং আল্লাহর রহমতই আমাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আর আল্লাহর রহমত পেতে হলে আমাদের বেশি করে আল্লাহর জিকির – প্রশংসা এবং ইস্তিগফার করতে হবে। কারন উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেছেন তিনি তওবা কবুলকারী এবং ক্ষমাশীল ।

৪. প্রশ্ন হল যিনি নিষ্পাপ (রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)) তাকে কেন আল্লাহ তাআলা ইস্তিগফার করতে আদেশ দিলেন? একবার আয়েশা (রাঃ) এরূপ প্রশ্ন করলে তার জওয়াবে রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন ‘আমি কি একজন কৃতজ্ঞ বান্দা হব না’?

ব্যাখ্যা:

সূরা আন নাসর এর তফসীর। সূরা আন নাসর কুরআন কারীমের এক চতুর্থাংশের সমতুল্য। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উবাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেনঃ- সর্বশেষ কোন

সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে তা কি তুমি জান? উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা, সূরা ইযাজাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু’ (সর্বশেষ অবতীর্ণ হয়েছে।) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তখন বললেনঃ “তুমি সত্য বলেছো।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আইয়ামে তাশরীকের (১১ই, ১২ইও ১৩ই যিল হজ্ব তারিখের) মধ্যভাগে সূরা আন নাসর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হলে তিনি বুঝতে পারেন যে,

এটা বিদায়ী সূরা। সুতরাং তখনই তিনি সওয়ারী তৈরি করার নির্দেশ দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর তিনি তার সুপ্রসিদ্ধ খুৎবাহ প্রদান করলেন। (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বাযার (রঃ) এবং হাফিয বারহাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন সূরা নাসর অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে ডেকে বলেনঃ “আমার পরলোক গমনের খবর এসে গেছে।”

এ কথা শুনে হযরত ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। তারপরই তিনি হাসতে লাগলেন।

তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “আমার আব্বার (সঃ) পরলোক গমনের সময় নিকটবর্তী হওয়ার খবর শুনে আমার কান্না এসেছিল। কিন্তু আমার কান্নার সময় তিনি আমাকে বললেনঃ

“তুমি ধৈর্য ধারণ করে। আমার পরিবার-পরিজনের মধ্যে তুমিই সর্ব প্রথম আমার সাথে মিলিত হবে।”

Tags:

সূরা আন নাছর,সূরা আন নাসর বাংলা উচ্চারণ,সূরা আন নাসর বাংলা অনুবাদ,সূরা আন নাসর,সূরা নাসর ছবি,সূরা নাসর বাংলা অনুবাদ,সূরা নাসর বাংলা,সুরা আল নাসর,সূরা আন নাস বাংলা উচ্চারণ,সূরা নাসর বাংলা উচ্চারণ,সুরা নাসর বাংলা উচ্চারণ,

surah an nasr bangla uccharon,surah nasr bangla meaning,surah nasr bangla lekha,surah nasr bangla pronunciation,surah nasr bangla ortho,surah nasr in bangla,surah nasr bangla,

Surah nasr bangla uccharon

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *