Skip to content
Allor poth.com

Allor poth.com

Bangla new Islamic stories and stories are always available here. (Alor poth)

  • Home
  • Category
    • Al Quran Bangla
    • Alor poth
    • quotes islamic
    • Masjid/Mosque
    • Hadith
    • Tools
    • Surah Yaseen pdf | Bangla | English | Hindi | Arabic | Other
    • আল কোরআনের বাণী
    • মেয়েদের বিষয়
    • ছেলেদের বিষয়
    • মেয়ে এবং ছেলে উভয়
  • Pages
    • Quran-koran / Bengali, English, Arabic All Versions
    • Quran Tilawat
    • Surah Yaseen pdf | Bangla | English | Hindi | Arabic | Other
    • Apps / Allor Poth.com
    • Islamic gojol / You Tube Video
    • Books | Islamic book pdf bangla
    • prayer time | নামাজের সময়
    • Tools | VIDEO DOWNLOADER, SEO, TEXT EDITORS, Powerful, OTHER
  • About
  • Privacy Policy
  • +Upload
  • Toggle search form

Surah | নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)

Posted on December 24, 2022March 31, 2023 By Shohidul 12 Comments on Surah | নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)

অজুর শুরুর দো’আ /Surah

অজুর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা-
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْم
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’
অর্থ : পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।


অজু করার সময় এ দোয়াটি পড়তে থাকা-


اَللَّخُمَّ اغْفِرْلِىْ ذَنْبِى وَ وَسِّعْلِىْ فِىْ دَارِىْ وَبَارِكْ لِىْ فِىْ رِزْقِىْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াসসিলি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফি রিযক্বি। (নাসাঈ)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার গোনাহ মাফ করে দাও। আমার জন্য আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিযিক্বে বরকত দিয়ে দাও।’

অজুর শেষে কালেমার সাক্ষ্য ও উপকারিতা


أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম, মিশকাত)

উপকারিতা : হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে; ওই ব্যক্তি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করবে। (মুসলিম, মিশকাত)

মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া /Surah


মসজিদে প্রবেশের দোয়া/Surah

ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং বলবে-

আরবীঃ

أَعُوذُ بِاللَّهِ العَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» [بِسْمِ اللَّهِ، وَالصَّلَاةُ] [وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ] اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। [বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালাতু] [ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি], (আল্লা-হুম্মাফ্‌তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্‌মাতিক)।

অর্থঃ “আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [আল্লাহ্‌র নামে (প্রবেশ করছি), সালাত] [ও সালাম আল্লাহ্‌র রাসূলের উপর।] “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন”।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া

বাম পা দিয়ে বের হবে এবং বলবে-
আরবীঃ

بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণঃ বিস্‌মিল্লা-হি ওয়াস্‌সালা-তু ওয়াস্‌সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।

অর্থঃ “আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্‌র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন”

পরিশেষে আশা করি মসজিদে প্রবেশের দোয়া এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া শিখার মাধ্যমে আমাদের অনেক নেকি হাসিল করা সম্ভব হবে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো পড়ুন ,…..

INTERCOURSE | স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, দোয়া, আগে ওপরে করণীয়

এক স্ত্রী দুই স্বামী হারাম কেন ?

KALEMA | কালেমাঃ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিও সহ

BOOKS / ইসলামিক বই PDF : ISLAMIC BOOK PDF BANGLA

SEX VIDEO | পর্ণগ্রাফি দেখার ফলে গোসল ফরজ হয় কিনা

Download Official Android Apps


নামায


(মুসলিম, মিশকাত)
নামায শুরুর সময় আমরা দু’হাত কাঁধ বরাবর অথবা কান বরাবর উঠিয়ে বলি “আল্লাহু আকবার” এর অর্থ হল- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়” ।


সানা

اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى
الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ


উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতাইয়াইয়া, কামা বাআদ্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি; আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিন খাতাইয়াইয়া কামা ইউনাক্কাছ্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ্দানাসি, আল্লাহুম্মাগসিলনি মিন খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি, ওয়াছ্ছালজি, ওয়াল বারাদি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপগুলো থেকে এত দূরে রাখ যেমন পূর্ব ও পশ্চিম পরস্পরকে পরস্পর থেকে দূরে রেখেছ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে (পবিত্র করার জন্য) পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও।’ (বুখারি ও মুসলিম)

(বুখারী হাঃ ৭৪৪, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, নাইলুল আওতার ২য় খণ্ড, ১৯১ পৃঃ ও মিশকাত ৭৭ পৃষ্ঠা।)


‘আউযুবিল্লাহ” ও “বিসমিল্লাহ’ পড়া


أعُوذُ بِاللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : আউযুবিল্লা-হি মিনাশ্ শায়তা-নির রাজীম। Surah

অর্থ : আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম।
অর্থ : পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

Surah | সূরা ফাতিহা


الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণ : (১) আল হাম্দু লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন- (২) আর্ রাহ্মা-নির রাহীম-(৩) মা-লিকি ইয়াউমিদ্দীন-(৪) ইয়্যা- কানা’বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তা’য়ীন-(৫) ইহদিনাস্ সিরা-ত্বাল্ মুস্তাকীম-(৬) সিরা-ত্বাল্লাযীনা আন্ ‘আতা আ’লাইহিম, গাইরিল মাগদূবি আ’লাইহিম, ওয়ালাদ্দ-ল্লীন-(৭)। (আ-মীন)


অর্থঃ (১) যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার যিনি বিশ্ব জগতের পালনকর্তা-(২) যিনি অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়ালু- (৩) যিনি বিচার দিনের মালিক-(৪) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি-(৫)


আমাদের সরল সঠিক পথ দেখাও (৬) সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ, তাদের পথ নয় যাদের উপর গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে- (৭) (হে আল্লাহ! কবুল করুন)। (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাইলুল আওতার- ২/২০৬ পৃঃ সহীহ, ইরউয়া হাঃ ৩৪৩ )


Surah Asr | সূরা আসর


بِسمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
وَالْعَصْرِهِ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرِهِ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا
الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِه
উচ্চারণ : ১) ওয়াল ‘আসর। ২) ইন্নাল ইনছা-না লাফী খুছর। ৩) ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া তাওয়া-সাওবিল হাক্কি ওয়া তাওয়া-সাও বিসসাবরি। Surah


অর্থঃ (১) আসরের (কাল প্রবাহের) কসম! (২) নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু যারা (আল্লাহকে) বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে, আর একে অপরকে সত্যের উপদেশ দান করে এবং (বিপদে-আপদে) পরস্পরকে ধৈর্যধারণের পরামর্শ দান করে (তারা ঐ ক্ষতির মধ্যে নহে)।


Surah | সূরা আল কাওছার


بسم الله الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَه فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْه إِنْ شَانِئَكَ هُوَ
الأبتره
উচ্চারণ : (১) ইন্না আ‘ত্বায়না-কাল কাওছার (২) ফাছাল্লে লে রবিবকা ওয়ান্হার (৩) ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার ।
অর্থ : : (১) (হে মুহাম্মাদ!) নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাছার দান করেছি। (২) অতএব তুমি (ঐ মহাদানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ)


তোমার প্রতি পালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। (৩) নিঃসন্দেহে তোমার দুশমনই লেজ কাটা বা নির্বংশ ।

Surah | সূরা কাফিরুন


قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْكَٰفِرُونَ
لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ

উচ্চারণ।:1 কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। 2 লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। 3 ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। 4 ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, 5 ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। 6 লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

সূরা কাফিরুন অর্থ : Surah
বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।


Surah | সূরা আল-ইখলাস


بسم الله الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ o اللهُ الصَّمَدُ هِ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ o وَلَمْ
يَكُن لَّهُ كُفُوا أَحَدٌه
উচ্চারণ : (১) কুল্ হুয়াল্লাহু আহাদ। (২) আল্লা-
হুসামাদ । (৩) লাম্‌ ইয়ালিদ। (৪) ওয়া লাম্‌ ইউলাদ । (৫) ওয়া লাম্‌ ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান্ আহাদ ।


অর্থ : (১) হে নবী তুমি বলেদাও সেই আল্লাহ একক, (২) যে আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন (অথচ সবাই তাঁরই মুখাপেক্ষী), (৩) তিনি (কাউকে) জন্ম দেননি এবং (কারো হতে) তিনি জন্মলাভও করেনি । (৪) আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই ।


Surah | সূরা আল্-ফালাক


بسم الله الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِهِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ


উচ্চারণ : ১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক
২) মিন শাররি মা-খালাক। Surah
৩) ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।
৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ।
৫) ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।


অর্থ : ১। তুমি বল! আমি ভোরের প্রতি পালকের আশ্রয় চাচ্ছি। ২। সেই সমস্ত জিনিষের অনিষ্ট থেকে যা তিনি সৃষ্টি করেছেন। ৩। এবং অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা (বিশ্ব চরাচরকে) ঢেকে নেয়, ৪। আর গিরাসমূহে ফুঁক দানকারীনীদের দুষ্কৃতি থেকে, ৫ । এবং হিংসুক ব্যক্তির ক্ষতি থেকে ।


Surah | সূরা আন্-নাস


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ هِ إِلَهِ النَّاسِ • مِنْ شَرِ
الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ هِ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ هِ مِنَ
الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ .


উচ্চারণ : কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ,
মালিকিন্না-ছ,
ইলা-হিন্না-ছ।
মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-।
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।


অর্থ : (১) তুমি বল, আমি মানুষের প্রতি পালকের, (২) মানুষের মালিকের, (৩) মানুষের উপাস্যের আশ্রয় প্রার্থনা করছি, (৪) সেই লুকায়িত কুমন্ত্রণা দানকারীর দুষ্কৃতি থেকে, (৫) যে মানুষের অন্তরসমূহে কুমন্ত্রণা দান করে, (৬) জিন ও ইনসানের
মধ্য হতে।


Surah | সূরাহ্ আল-কাদর


১- إِنَّآ أَنزَلْنَٰهُ فِى لَيْلَةِ ٱلْقَدْرِ
২- وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ
৩- لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
৪- تَنَزَّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
৫- سَلَٰمٌ هِىَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ ٱلْفَجْرِ

উচ্চারণ : ১- ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
২- ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
৩- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
৪- তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
৫- ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।

বাংলা অর্থ: ১- আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
২- শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
৩- শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
৪- এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
৫- এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

Surah | রুকুর দো’আ


سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : সুবহা-না রাব্বিয়াল আযীম
অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
(তিরমিযী, আবূ দাউদ, মিশকাত- ৮২ পৃষ্ঠা। (সহীহ))


নবী (স)- রুকু ও সিজদায় এই দু’আটি খুব বেশী করে পড়তেন :
سبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي –
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাব্বানা- ওয়া বিহাম্‌দিকা আল্লাহুম্মাগ ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, অতএব হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৮২ পৃঃ) Surah
দেন।


Surah | রুকু হতে উঠার দো’আ


سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَه
উচ্চারণ : “সামি ‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ”
অর্থ : যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তা শুনে জবাব


Surah | রুকুর পরের দো’আ


رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
উচ্চারণ : রাব্বানা- লাকাল হাম্দ হাম্দান্ কাছীরান ত্বাইয়্যেবান মুবারাকান্‌ফিহ্
(অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমারই জন্য অধিক অধিক পবিত্র ও বরকতময় প্রশংসা। )


Surah | সিজদার দো’আ


উচ্চারণ : (সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা)
অর্থ : আমি আমার সুমহান প্রতিপালকের পবিত্ৰতা বৰ্ণনা
করছি। (তিরমিযী, আবু দাউদ, মিশকাত ৮৩ পৃষ্ঠা। (সহীহ)


سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي –

9 উচ্চারণ : সুব্‌হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাব্বানা- ওয়া বিহাম্‌দিকা আল্লাহুম্মাগ ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, অতএব হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৮২ পৃঃ) Surah
দুই সিজদার মাঝে দো’আ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ
মাঝে বসে এই দু’আ পড়তেন :


Surah | দুই সিজদার মাঝখানের দোয়া


اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي.
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী, ওয়ার্ হাম্নী, ওয়াদিনী, ওয়া আ-ফিনী, ওয়ার্ যুনী ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি রহম কর, আমাকে হেদায়াত দাও, আমাকে সুস্থ রাখ এবং আমাকে রুযী দাও। (তিরমিযী, আবু দাউদ, মিশকাত ৮৪ পৃষ্ঠা। (সহীহ))


Surah | তাশাহ্হুদ (আত্তাহিইয়া-তু)


التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ الله وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِيْنَ أَشْهَدُ
أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنْ مُحَمَّدٌ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ –

উচ্চারণ : আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ্ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হাইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আনণা মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহু ।

অনুবাদ : যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হেনবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহনাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীলবান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেইএবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
(বুখারী ২/৯২৬ পৃঃ, ও ফতহুল বারী ২/৪০২ পৃষ্ঠা)

দরূদ


সাহাবী কা’ব ইবনে উমারাহ বলেন : একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ()-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর আমরা কিভাবে দরূদ পড়ব, তিনি বললেন- বল :
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ
إبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ
মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা- আ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা সল্লি আলা লি মুহাম্মাদ, কামা- সল্লাইতা ‘আলা- ইব্রা-হীমা ওয়া ‘আলা- আ- লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া’আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা- ইব্রাহীমা ওয়া’আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। Surah


অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (র) এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছ ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরের উপর, নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানী। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (র) এবং তাঁর বংশধরের ওপর বরকত নাযিল কর যেমন বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানী 1 (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- ৮৬ পৃষ্ঠা)

উল্লেখিত দরূদটি সহীহ হাদীসে প্রমাণিত অনুরূপ তাঁর মুখনিসৃত দুরূদ হল সুন্নাতি দরূদ । এ দরূদ সম্পর্কে তিনি (হু) বলেনঃ যে আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- ৮৬ পৃষ্ঠা)


দো’আয়ে মাসুরা


اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنتَ
فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةٌ مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيمُ


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।


অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া কেউ (ঐ) পাপসমূহ ক্ষমাকারী নেই। অতএব তুমি স্বীয় অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর । নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াময় ।


(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- ৮৭ পৃষ্ঠা) সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ নিম্নের দু’আটি সাহাবীদেরকে কুরআনের সূরার মত শিক্ষা দিতেন। (আবূ দাউদ, আহমাদ সহীহ সিফাতু সালাতিন্নাবী— ১৮৩ পৃষ্ঠা)
আয়েশা (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ () নিজেও নামাযে এ দু’আটি পড়তেন। (মুসলিম, আবূ আওয়ানাহ সিফাতুসালাতিন্নাবী- ১৮৩ পৃষ্ঠা)


اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُبِكَ مِنْ عَذَاب الْقَبْرِ وَأَعُوذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُبِكَ مِنَ الْمَاثَمِ وَالْمَغْرَمِ


উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিন্ ‘আযাবি জাহান্নামা ওয়া আ’উযুবিকা মিন আযাবিল কারি ওয়াআ’উযুবিকা মিন ফিতনাতিল্ মাসীহিদ্ দাজ্জালি ওয়াআ’ঊযুবিকা মিন ফিনাতিল্ মাহ্ইয়া-ওয়া ফিনাতিল্ মামা-ত। আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম ।


অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আরো দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আরো আশ্রয় চাচ্ছি দুনিয়ার জীবনের ফিতনা ও বিপর্যয় এবং মৃত্যুর যাতনা হতে। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি সমস্ত গুনাহ ও সব রকমের ঋণের দায় হতে ।


সালাম ফিরানের দো’আ


আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ (2) (আত্তাহিয়্যাতু, দরূদ, দু’আমাছূরা পড়ার পর) ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরানের সময় বলতেন- এ
এলা


(আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ) অর্থ (হে মুক্তাদী ও ফিরিশ্তাগণ) তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক। ডানে ও বামে মুখ ফিরানোর সময় রাসূল (স)-এর গালের সাদা অংশ দেখা যেত । Surah
(তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত- ৮৮ পৃষ্ঠা। (সহীহ))

ফরয নামাযের পর পঠনীয় দু’আসমূহ


সাওবান () বলেন, রাসূলুল্লাহ নামায শেষে তিনবার
ক্ষমা চাইতেন। অর্থাৎ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهُ أَسْتَغْفِرُ اللَّهُ أَسْتَغْفِرُ اللَّه
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ। অর্থ : আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি।


অতঃপর বলতেন :

اللَّهُمَّ أَنتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ও মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রাক্তা রব্বানা ইয়া-যাল্ জালা-লি ওয়াল্ ইক্রা-ম ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময় এবং তোমা হতেই শান্তি আসে। তুমি বরকতময় হে প্রতাপ ও সম্মানের অধিকারী।
(মুসলিম, মিশকাত) মুগীরা বলেন, নবী প্রত্যেক ফরয নামাযের পর
বলতেন :


لا إلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لا شَريكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إلا إيَّاهُ، لَهُ النّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءِ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ الا الله مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْكَرِهَ الْكَافِرُوْنَ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا
أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدَ مِنْكَ الْجَدُّ


উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং কাদীর, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, ওয়ালা-না’বুদু ইল্লা- ইয়্যাহ, লাহুন্ নি’মাতু ওয়ালাহুল ফালু, ওয়ালাহুং ছানাউল হাসান, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ্ দ্বীন ওয়ালাউ কারিহাল্ কাফিরুন।

আল্লা-হুম্মা লা- মানিআ’ লিমা- আ’অতাইতা ওয়ালা- মু‘অতীয়া লিমা মানা’অতা ওয়ালা-ইয়ান্ফা’য়ু যালজাদ্দি মিন্‌কাল জাদ্দু ।
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। কোন অন্যায় ও অনিষ্ট হতে মুক্তি


পাওয়ার কোন উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বুদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করি, যাবতীয় নিয়ামত/অবদান ও অনুগ্রহ একমাত্র তরই এবং উত্তম প্রশংসাও তাঁর । আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বুদ নেই।

আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট অপ্রীতিকর। হে আল্লাহ! তুমি যা দিয়েছ তা রোধ করার কেউ নেই। আর তুমি যা রোধ করেছ তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানদের ধন তোমার আযাবের মুকাবিলায় কোন উপকার করতে পারেনা। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)
আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (র) বলেন, রাসূলুল্লাহ যখন নামাযের সালাম ফিরাতেন তখন উচ্চঃস্বরে বলতেন :


لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়া লাহুল হাম্দু ইউহয়ী ওয়া ইউমীত ওয়া হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন প্রকৃত ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসাও তাঁর। তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন এবং তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (মুসলিম, মিশকাত)


রাসূলুল্লাহ
নামাযের পর:
৩৩ বার । ১৮১
বলেন, কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেক
(সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার
(আলহামদুলিল্লাহ) ৩৩ বার 1 (আল্লাহু আকবার) এবং


একশত পূর্ণ করতে বলবে :


لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়া লাহুল হাম্‌দু ওয়া হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বাদীর।
‘আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসাও তাঁর। তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন এবং তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।

‘ বলবে, তাহলে তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। (মুসলিম, মিশকাত)
রাসূলুল্লাহ বলেন, প্রত্যেক ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশের জন্য মৃত্যু ব্যতীত আর কোন বাধা থাকে না:


আয়াতুল কুরসী একবার


اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ لَّهُ مَا في السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ)


উচ্চারণ : আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইয়ূম, লা- তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা- নাউম, লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মা-ফিল আরদি, মান যাল্লাযী ইয়াশফা’উ ইন্দাহু ইল্লা- বিইনিহী ই’য়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম


ওয়ালা- য়ুহীতূনা বিশাইম্ মিন্ ‘ইমিহী ইল্লা- বিমা- শা-আ ওয়াসিআ’ কুরসীইউহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল্ আদা ওয়ালা- ইয়াউদুহু হিফ্যুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলীউল আযীম। (বাকারাহ ২৫৫) Surah


অর্থ : ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক।

তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমুহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা । কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া।

তাঁর কুরসী আসমানসমুহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।’ (বাকারাহ ২৫৫, নাসাঈ) অতঃপর সূরা নাস সূরা ফালাক সূরা ইখলাস এ সূরা তিনটি ফরয সালাতের পর একবার করে পড়বে, তবে ফজর ও মাগরিবের পর তিনবার করে পাঠ করা উত্তম।


ক্ষমা প্রার্থনার দো’আ


اللَّهُمَّ أَنتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ
بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنَبِي فَاغْفِرْلِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ !


উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাক্কানী ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাহাতা’তু আ’উযুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযাম্‌বি ফাগ্‌ফিরলী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আন্তা ।


অর্থ : হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রভু। তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা,


আমি সাধ্যানুযায়ী তোমার ওয়াদা অঙ্গীকারের উপর স্থীর রয়েছি। আমি তোমার নিকট আমার কৃত অন্যায় আচরণ হতে আশ্রয় চাচ্ছি, আমি তোমার নি’আমতকে স্বীকার করছি যা তুমি আমাকে দান করেছ এবং আমার অপরাধও স্বীকার করছি। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা কর, কেননা তুমি ব্যতীত অন্য কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

(সহীহ বুখারী, মিশকাত তাহকীক-হাঃ (২৩৩৫)।)



ফযীলত

রাসূলুল্লাহ বলেন : যে ব্যক্তি নিবিষ্ট মনে উক্ত দু’আ দিবসে পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মারা যাবে সে ব্যক্তি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের (বিশ্বাসের) সাথে উক্ত দো’আ রাতে পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (বুখারী, মিশকাত)


কুনূত

দোয়া কুনুত আরবীঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

দোয়া কুনুতের বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্‌তাগ্‌ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্‌ফারি মুলহিক্ব।

দোয়া কুনুতের অর্থ:


হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।

তুমি যার সাথে বন্ধুত্ব রাখ’সে কোন দিন অপমানিত হয় না। আর তুমি যার সাথে বন্ধুত্ব রাখ না, সে কোন দিনই সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি প্রাচুর্যময় ও সর্বোচ্চ। Surah আল্লাহ তা’আলা নবী (স)-এর উপর রহমত বর্ষণ করুন। (সুনান আরবাআ, আহমাদ, বায়হাকী, হাকেম, সহীহ ইবনে হিব্বান, বুলুগুল মারাম ৯০ পৃঃ, যাদুল মাআদ – ১ম খণ্ড,২৪ পৃঃ, বাংলা মিশকাত হাঃ ১২০১ )


দৈনন্দিন জীবনে পঠিতব্য দো’আসমূহ


পিতা-মাতার জন্য দু’আ


আল্লাহ তা’আলা বলেন : তোমার পিতা-মাতার জন্য নিবেদিত ও বিনয়ী হও, তাদের পরিচর্যায় আত্মনিয়োগ কর এবং তাদের জন্য এ বলে দু’আ কর :
رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيراً
উচ্চারণ : রাব্বিরহাম্ হুমা কামা রাব্বায়া-নী সাগীরা । অর্থ : হে প্রভু! তাদের দু’জনের প্রতি রহম করুন যেমনিভাবে তারা আমার ছোট কালে আমাকে লালন-পালন করেছেন।
(সূরা বানী ইসরাইল আয়াত- ২৪)


رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
উচ্চারণ : রাব্বানা গফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল্‌ মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিসাব। (সূরা ইব্রাহীম আয়াত- ৪১)
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার পিতা- মাতা ও সকল মুমিন মুসলমানকে কিয়ামতের দিবসে ক্ষমা কর।


সন্তান ও পরিবারের জন্য দো’আ


رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ
وَارْزُقُهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
:
উচ্চারণ রব্বানা- লিইউকীমুছ ছালাতা ফাজ’আল আফরিদাতাম মিনাননা-সি তাহবী ইলাইহিম ওয়ারঝুকুহুম মিনাছ ছামারা-তি লা‘আল্লাহুম ইয়াশকুরূন ।
অর্থ : : হে আমার প্রতিপালক! তারা যাতে নামায ক্বায়িম করে । কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর যাতে তারা শুকরিয়া আদায় করে। (সূরা ইবরাহীম : ৩৭)


বিপদ আপদ হতে বেঁচে থাকার দো’আ


لا إِلَهَ إِلا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা সুবহা-নাকা ইন্নীকুং মিনায য-লিমীন। (সূরা আম্বিয়া : ৮৭, তিরমিযী)
অর্থ : তুমি (আল্লাহ) ব্যতীত কোন সত্যিকার মা’বুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি। নিশ্চয়ই আমি অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত।

মুসলিম হয়ে মৃত্যু বরণের দু’আ


فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
تَوَفَّنِي مُسْلِماً وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ.
উচ্চারণ : ফাতিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আমি আতা ওয়ালিইয়্যি ফিদ্ দুন্ইয়া ওয়াল্ আখিরাতি তাওয়াফ্ফানী মুসলিমা ওঁ ওয়া আল্‌হিনী বিস্সালিহীন।
অর্থ : (হে আল্লাহ!) আসমান জমিনের সৃষ্টি কর্তা তুমিই ইহকাল ও পরকালে আমার অভিভাবক, তুমিই আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যুদান কর এবং সৎ লোকদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ দান কর। (সূরা ইউসুফ আয়াত – ১০১ )


প্রার্থনা কবুল ও মুনাজাত সমাপ্তির দু’আ


رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ
التَّوَّابُ الرَّحِيمُ.
উচ্চারণ : রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস্ সামীউল আলীম, ওয়াতুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়াবুর রহীম। অর্থঃ হে প্রভু! তুমি আমাদের প্রার্থনা কবুল কর এবং আমাদের তাওবা গ্রহণ কর, নিশ্চয় তুমি তাওবা কবুলকারী দয়াময়।
(সূরা আল-বাকারা আয়াত- ১২৭ ও ১২৮)


سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ، وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ
وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ.
উচ্চারণ : সুবহা-না রাব্বিকা রাবিল ইয্যাতি আম্মা ইয়াসিফুন ওয়া সালামুন আলাল মুরসালীন ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। (সূরা সাফ্ফাত আয়াত- ১৮০-১৮২)
অর্থ : তোমার প্রভু, সম্মানিত প্রভু তাদের (কাফিরদের) অপবাদ হতে পবিত্র। সকল রাসূলদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং সকল প্রশংসার একমাত্র মালিক আল্লাহ, যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক ।


ঋণ ও চিন্তা মুক্ত হওয়ার দু’আ


اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ الْجُبْنِ وَالْبَحْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدِّينِ
وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল্হুনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আযি ওয়াল্ কালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল্‌ বুখলী ওয়াল জুনি ওয়া আউযুবিকা মিন্‌ গালাবাতিদ্ দাইনি ওয়া কারিরিজা-ল।


অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তি চাই, অপারগতা ও অলসতা হতে বাঁচতে চাই,’ কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে পরিত্রাণ চাই, ঋণের বোঝা ও মানুষের জবর দস্তি (ক্রোধ) থেকে রেহাই চাই ।
(সহীহ বুখারী মুসলিম, মিশকাত তাহকীক- ২/৭৫৯ পৃঃ)


রোগ মুক্তির দো’আ


اللَّهُمَّ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ
إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিবিল বা’সা রাব্বানা-স, ওয়াফি আন্তাশ্ শা-ফী লা-শিফাআ ইল্লা-শিফা-উকা শিফাআল্‌লা- যুগাদিরু সাকামা । (সহীহ বুখারী, হাঃ ৫৭৪৩, সহীহ মুসলিম হাঃ ২১৯১)
অর্থ : হে আল্লাহ! খারাবী দূর করে দাও। হে মানব জাতির প্রতিপালক! তোমার আরগ্য ব্যতীত আর কোন রোগ মুক্তির ব্যবস্থা নেই । তোমার শিফা এমনই যা সমস্ত ব্যাধি দূর করে।


জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তির দু’আ


اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُبِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিন্ ‘আযা-বি জাহান্নাম ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের শাস্তি হতে
মুক্তি চাই ।


জান্নাত লাভের দু’আ


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَلُكَ جَنَّةَ الْفِرْدَوْسِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্‌আলুকা জান্নাতাল ফিরদাউস।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ‘জান্নাতুল ফেরদাউস’
প্রর্থনা করছি। (বুখারী, মুসলিম)


হালাল রিজিকের জন্য দু’আ


اللهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনী বি হালা-লিকা ‘আন্ হারা-মিকা ওয়ানিনী বি ফালিকা ‘আম্মান সিওয়াকা ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিয্ক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও। এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও। (তিরমিযী-৫/৫৬০ পৃঃ, হাঃ ৩৫৬৩ (হাসান) ) মৃত্যুর

কষ্ট থেকে বাঁচার দু’আ


لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتِ اللّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْخ
والحقني بالرفيق الأعلى.
وَارْحَمْنِي
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ইন্না লিল্‌ মাউতি সাকারা-ত, আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ার্ হাম্নী ওয়া আহিনী বিরাফীকিল আ’অলা। (সহীহ বুখারী হাঃ- (8880))
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই, নিশ্চয়ই মৃত্যুর ভয়াবহ কষ্ট রয়েছে, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর এবং আমাকে উত্তম বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দাও ।


শির্ক হতে বাঁচার দু’আ


اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَشْرِكَ بِكَ وَ أَنَا أَعْلَمُ وَاسْتَغْفِرُكَ لِمَا
لا أَعْلَمُه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা-লা-আ’লামুহূ


অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি জেনে শুনে তোমার সঙ্গে শরীক করা হতে পরিত্রাণ চাই এবং অজ্ঞাত অবস্থায় যা করে ফেলি তা হতে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
(আহমাদ, সহীহ আল জামি-হিসনুল মুসলিম দু’আ নং-২০৩)


স্বামী-স্ত্রী মিলনের দু’আ


بِسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাযাক্তানা ।
অর্থ : আল্লাহর নামে (আমরা মিলিতেছি) হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ এবং যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার নিকট হতেও শয়তানকে দূরে রাখিও। (সহীহ বুখারী হাঃ ৬৩৮৮। সহীহ মুসলিম হাঃ ১৪৩৪)


কবর যিয়ারতের দু’আ


السَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ
شَاءَ اللهُ لَلاحقُونَ أَسْأَلُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
উচ্চারণ : আস্‌সালামু আলাইকুম ইয়া আহ্লাদিয়ারি মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুসলিমীন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু লালা-হিকূন, নাআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আল আ-ফিয়াহ ।


(সহীহ মুসলিম হাঃ-১৬20) অর্থ : হে মুমিন ও মুসলিম কবর বাসীগণ। তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের সাথে ইন্‌শাআল্লাহ আমরা মিলিত হব। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য শান্তি কামনা করছি।


বাড়ী হতে বের হওয়ার দু’আ


بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ


উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলা-ল্লাহ্, লা-হাওলা

ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ।

অর্থ : আল্লাহর নামে তাঁরই উপর ভরসা করে বের হলাম। আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত নেক আমল করার এবং পাপ হতে বেঁচে থাকার সাধ্য-শক্তি কারো নাই ।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, সহীহ আল জামে হাঃ ৪৯৯)


বাড়ীতে প্রবেশ করার দু’আ


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ
وَلَجْنَا وَعَلَى اللَّهُ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলাজি ওয়া খাইরাল মাখ্রাজি বিসমিল্লাহি ওয়ালানা ওয়া‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আগমন ও নির্গমনের মঙ্গল চাই। তোমার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই। আমাদের প্রভু আল্লাহর নামে ভরসা করলাম।


(আবূ দাউদ, হাসান, আল আকার-৫০ পৃঃ) খাবার শুরুতে দু’আ ও ভুলে গেলে যা বলতে হয় যে কোন খাবার বিসমিল্লাহ’ বলে খেতে হয়। আর বিসমিল্লাহ বলা ভুলে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখন বলবে angl all play ST, (বিস্মিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহু) অর্থ : প্রথমে ও শেষে আল্লাহর নামে (শুরু করলাম)
(আবু দাউদ, তিরমিযী, সহীহ জামে হাঃ ৩৮০ )

খাবার শেষে দু’আ


الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ

مِنِي وَلَا قُوَّة


উচ্চারণ : আল হাম্দু লিল্লাহিল্লাযী আত্‌’আমানী হাযাত ত্ব—আমা ওয়া রাযাকানীহি মিন্ গাইরি হাউলিম্ মিন্নী ওয়ালা কুও ওয়াতিন ।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে এ খাবার খাওয়ালেন, আমাকে রিযিক (আহার) দিলেন আমার কোনরূপ চেষ্টা ও শক্তি ছাড়াই । (আবূ দাউদ, তিরমিযী, সহীহ জামি হাঃ ৬০৮৬)


লাইলাতুল কদরের দো’আ


اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু ‘আনী ।
অর্থাৎ- হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন তাই আমাকে ক্ষমা করুন।

(সহীহ তিরমিযী- হাঃ ২৭৮৯) অবশ্য নবী () এর সুন্নাত হল শেষ দশটি রাত্রি জাগরণ করে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। তিনি নিজে শেষ দশ রাত্রি জগতেন এবং পরিবাকেও জাগাতেন। (সহীহ বুখারী হাঃ ২০২৪, সহীহ মুসলিম হাঃ ১১৭৪) মূলতঃ এটাই প্রকৃত সুন্নাত, তাই এরূপই করা উচিত।


শোয়ার দো’আ

আয়েশা বলেন, নাবী কারীম এই যখন রাতে শয্যায় যেতেন তখন সূরা ইখলাছ, ফালাক ও নাস পড়তেন এবং তাঁর দু’হাত একত্রিত করে হাতে ফুঁ দিতেন। অতঃপর দু’হাত দ্বারা সম্ভবপর শরীর মুছে ফেলতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সম্মুখভাগ মুছতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।


(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৮৬ পৃঃ হাঃ ২১৩২) আবু হুরায়রা (2) বলেন, যদি কেউ শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করে, তাহ’লে শয়তান তার নিকটবর্তী হবে না ।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৮৫ পৃঃ হাঃ ২১৩২)

আবু মাসউদ আনছারী
বলেন, রাসূলুল্লাহ
বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারাহর শেষ দু’আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আয়াত দু’টিই যথেষ্ট হবে’ অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৮৫ পূঃ হাঃ ২১২৫)


آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقَ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ ۖ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ
لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ


অর্থ : রসূল [2] তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা তার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তারা সবাই আল্লাহ্র উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, (তারা বলে),

‘আমরা রসূলগণের মধ্যে কারও ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা কর আর প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে’। আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন না,

সে ভাল যা করেছে সে তার সওয়াব পাবে এবং স্বীয় মন্দ কৃতকর্মের জন্য সে নিজেই নিগ্রহ ভোগ করবে। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আগের লোকেদের উপর যেমন


গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না; হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না,

(ভুল- ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দাও, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর; তুমিই আমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত কর।
(সূরা বাকারাহ : ২৮৫-২৮৬)


হুযায়ফা বলেন, নবী কারীম যখন শয়নের ইচ্ছে করতেন, তখন হাত মাথার নীচে রাখতেন। অতঃপর তিনবার বলতেন,
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিস্মিকা আমৃতু ওয়া আহ্ইয়া ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই নাম নিয়ে মৃত্যু বরণ করছি (ঘুমাতে যাচ্ছি)। আর তোমারই নাম নিয়ে জীবিত হব (ঘুম থেকে উঠব)। (বুখারী হা ৬৩২৪)
রাসূল
বলেন : যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করবে তখন ৩৩ বার । ১৩ (সুবহানাল্লাহ), ৩৩ বার মা hadi (আলহামদুল্লিাহ) এবং ৩৪ বার 51 । (আল্লাহু আকবার) বলবে ।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ২০৯ পৃঃ হাঃ ২৩৮৭)


ঘুম থেকে জেগে দু’আ


الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
উচ্চারণ : আল্হাম্দু লিল্লাহিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা’দা মা-
আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। (বুখারী হাঃ ৬৩২৪)
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য,
যিনি আমাদের মৃত্যু


দান করার পর পুনরায় জীবন দান করেছেন, আর তাঁরই নিকট
(আমাদের) ফিরে যেতে হবে।


প্রস্রাব পায়খানায় যাওয়ার সময় দু’আ রাসূলুল্লাহ () হতে প্রমাণিত তিনি প্রশ্রাব পায়খানায় যেতে এ দু’আ পড়তেন :
بِسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ .
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবা-ইছ ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি দুষ্ট জ্বীন পরীর অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারাম- ৩৫ পৃষ্ঠা। ইরওয়াউল গালীল, হাঃ নং)


প্রস্রাব পায়খানা হতে ফিরার সময় দু’আ


তিনি (ই) যখন প্রস্রাব পায়খানা হতে ফিরতেন তখন এই
দু’আ পড়তেন :
(গুফ্রা-নাকা)


অর্থ : : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (আহমাদ, সুনানে আরবা, হাকেম সহীহ, বুলুগুল মারাম – ৩৭ পৃষ্ঠা)
وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সবশেষে নাবী-রাসূলদের উপর সালাত ও সালাম এবং বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা ।

Share this:

  • Twitter
  • Facebook
  • LinkedIn
  • WhatsApp
  • More
  • Reddit
  • Tumblr
  • Pinterest
  • Pocket
  • Telegram
  • Skype
  • Mastodon

Related posts:

Surah dukhanSurah Ad-Dukhan-Surah dukhan-Surat ad dukhan-সূরা আদ দোখান-44 অজুযে অবস্থায় অজু ফরজ | অযুর দোয়া | ওযুর নিয়ত RojaRoja | রোজা অবস্থায় কি কি করা বৈধ ? – দলীলসহ Meaning of a wifeMeaning of a wife | এক স্ত্রী দুই স্বামী হারাম কেন ? Wife cheating on HusbandWife cheating on Husband | ইসলাম কি বলে ? RelationshipRelationship | সম্পর্ক ছিন্ন অথবা যুক্ত হওয়া Sad quotesSad quotes | দুঃখজনক উক্তি ইসলামিক QuotesQuotes 100m+ Most Famous All Time Allah quotesAllah quotes | Islamic status Allah islamic quotesAllah islamic quotes | ইসলামিক উক্তি | Allah love quotes 140+ Tahajjud namazTahajjud namaz | তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন আলোর পথAlor poth | আলোর পথ AmolAmol | সকাল ও সন্ধ্যার আমল RamadanRamadan | রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি আমল Boy NamesBoy Names | ছেলেদের ইসলামিক নাম ও অর্থসহ ৫০০+ Girl NamesGirl Names | অর্থসহ মেয়ে শিশুদের ইসলামিক নাম। 500 + GosolGosol | সহবাসের পর গোসল করা কি জরুরী | গোসল না করে কি কি করা যাবে IntercourseIntercourse | স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, দোয়া, আগে ওপরে করণীয় লায়লাতুল কদরলায়লাতুল কদর | বাংলাদেশে শব-ই-কদর তারিখ Surah Al FatihahSurah Al Fatihah full translation | Surah fatiha 1 surah shuaraSurah Ash-Shu’ara full translation 1-227 | surah shuara | 26 as saffatSurah As-Saffat full translation | as saffat | সূরা আস-সাফফাত | 37 Surah At-Talaq with bangla translation-সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব-surah al talaq-65Surah At-Talaq with bangla translation-সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব-surah al talaq-65 DariDari | আপনার দাড়ি আছে তো | দাড়ি রাখার উপকারিতা ScholarScholar | Who is the scholar? | আলেম কে? Muslim Dating Sites30+ Best Muslim Dating Sites All time Morning RoutineMorning Routine | সকালে যে আমল করলে সারাদিন ভালো কাটবে CryptocurrencyCryptocurrency | What are the types and examples of Bitcoin? surah al anfalSurah Al Anfal full translation | Surah 8 https://www.allorpoth.com/wp-content/uploads/2021/11/Surah-An-Nahl-full-translation-Surah-16.jpgSurah An-Nahl full translation | Surah 16
Al Quran Bangla, Alor poth, quotes islamic Tags:Surah, Surah Al Kawshar, Surah An-Nas, Surah Asr, surah fatiha, Surah Ikhlas, Surah Kafirun

Post navigation

Previous Post: Scholar | Who is the scholar? | আলেম কে?
Next Post: Allah quotes | Islamic status

Related Posts

Surah Al-Buruj with bangla translation-সূরা আল বুরূজ-tilawat-85 Surah Al-Buruj with bangla translation-সূরা আল বুরূজ-tilawat-85 Al Quran Bangla
Roja Roja | রোজা অবস্থায় কি কি করা বৈধ ? – দলীলসহ Al Quran Bangla
Surah Al Ara Surah Al Araf | সূরা আল আ’রাফ আরবি সহ বাংলা ও অর্থ Al Quran Bangla
ইসলাম কি তরবারির মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে? / Is Islam spread through the sword আল কোরআনের বাণী
surah yusuf Surah Yusuf full translation 1-111 | Surah 12 Al Quran Bangla
সহিহ বুখারী | অধ্যায়ঃ ইলম | হাদিস নাম্বারঃ 59-65 আল কোরআনের বাণী
Surah Al-Fil with bangla translation- সূরা ফীল-Tilawat-105 Al Quran Bangla
Surah At-Tariq with bangla translation- সূরা আত্ব-তারিক্ব-Tilawat-86 Surah At-Tariq with bangla translation- সূরা আত্ব-তারিক্ব-Tilawat-86 Al Quran Bangla
Surah Al Mu Min Surah Al Mu Min / Ghafir Full translation | সূরা আল-মু’মিন | 40 Al Quran Bangla
surah ar ra d Surah Ar-Ra’d full translation 1-43 | surah 13 | Surah ar ra d Al Quran Bangla
ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর জীবনী | Dr. Jahangir রছেলেদে বিষয়
Surah Al-Ala with bangla translation-সূরা আল আ’লা-Tilawat-87 Surah Al-Ala with bangla translation-সূরা আল আ’লা-Tilawat-87 Al Quran Bangla

Comments (12) on “Surah | নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)”

  1. Pingback: Surah Ya Sin full Translation 1-83 | yasin sharif | সূরা ইয়াসীন | 36
  2. Pingback: Relationship | সম্পর্ক ছিন্ন অথবা যুক্ত হওয়া
  3. Pingback: Surah Zumar translation full | আল-যুমার আরবি,English ও বাংলা অর্থ সহো
  4. Pingback: Amol | সকাল ও সন্ধ্যার আমল
  5. Pingback: Morning Routine | সকালে যে আমল করলে সারাদিন ভালো কাটবে
  6. Pingback: Surah Az-Zariyat with bangla translation- surah zariyat / সূরা আয-যারিয়াত-51
  7. Pingback: Surah Yunus full translation | সূরা ইউনুস বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ সহ | Surah 10
  8. Pingback: Alor poth | আলোর পথ
  9. Pingback: Surah Al-Jumu'ah with bangla translation-surah al juma-surah jumuah-62
  10. Pingback: Surat Al-Mulk with bangla translation-সূরা আল মুলক-surah mulk-67
  11. Pingback: Tahajjud namaz | তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন
  12. Pingback: Allah quotes | Islamic status

Comments are closed.

Recent Posts

  • Hadees in Urdu📜 Discover the Wisdom | Hadees in Urdu Unveiled!
  • Sahih Bukhari💡 Unlocking the Gems of Sahih Bukhari’s Hadiths
  • Hadees🌟 Unlock the Wisdom: Dive into the World of Hadees
  • Sahih al-Bukhari | Illuminating the Path of Islamic Knowledge
  • Islamic Quotes | Inspirational Islamic Quotes: Discover Divine Wisdom

Categories

  • Al Quran Bangla
  • Alor poth
  • Hadith
  • Mosque
  • quotes islamic
  • Tools
  • Uncategorized
  • আল কোরআনের বাণী
  • মেয়ে এবং ছেলে উভয়
  • মেয়েদের বিষয়
  • রছেলেদে বিষয়

Copyright © 2023 Allor poth.com.

Powered by PressBook Grid Dark theme