Gosol | সহবাসের পর গোসল করা কি জরুরী | গোসল না করে কি কি করা যাবে

Gosol | গোসল ফরজ হয় যেসব কারণে

১. স্বপ্নদোষ হলে
২. স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করলে
৩. হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত হলে

Gosol

আরো পড়ুন ,…..

INTERCOURSE | স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, দোয়া, আগে ওপরে করণীয়

এক স্ত্রী দুই স্বামী হারাম কেন ?

KALEMA | কালেমাঃ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিও সহ

BOOKS / ইসলামিক বই PDF : ISLAMIC BOOK PDF BANGLA

SEX VIDEO | পর্ণগ্রাফি দেখার ফলে গোসল ফরজ হয় কিনা

প্রশ্ন: স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের পর ফরজ গোসলের আগে যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাকে কি গোসল কি দু বার দিতে হবে?

উত্তর:
আলেমদের প্রায় সর্বসম্মত অভিমত হল, গোসল ফরজ হওয়ার পর তথা স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ, ঋতুস্রাব বা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাপাক অবস্থায় কেউ যদি মৃত্যু বরণ করে তাহলে একবার গোসল দেয়াই যথেষ্ট। আর তা হল, Gosol

মৃত্যুর গোসল। এটি দ্বারাই মৃত ব্যক্তি পবিত্র বলে গণ্য হবে। নাপাকির জন্য আলাদাভাবে গোসল দেয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ জীবদ্দশায় যে গোসল ফরজ হয়েছিলো তা মৃত্যুর মাধ্যমে তার উপর থেকে রহিত হয়ে গেছে।

কারণ মৃত্যুর পর মানুষের উপর জীবদ্দশার আর কোনও বিধি-বিধান বহাল থাকে না। Gosol

❑ নিম্ন এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের অভিমত তুলে ধরা হল:

◍ শাইখ ভূতি (মানসুর বিন ইউনুস বিন সালাহুদ্দিন [জন্ম: ১০০০-মৃত্যু: ১০৫১ হিজরি-মিসর] বলেন,

إذا مات الرجل جنبا ، أو ماتت المرأة حائضا ، فإنه يغسل غسلاً واحدا ، فيكفي غسل الموت عن غسل الجنابة والحيض.
لأنه اجتمع سببان للغسل : الجنابة أو الحيض والموت فيكفي غسل واحد عنهما ، كما لو اجتمع أكثر من سبب للوضوء ، كخروج الريح ، والبول ، والنوم العميق ، فإنه يكفي عنها جميعاً وضوء واحد .
وانظر : “كشاف القناع” (2/87 )

“যদি কোনও পুরুষ জুনুবি (স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে নাপাক) অবস্থায় এবং Gosol কোনও মহিলা ঋতুমতী অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে তাহলে তাকে একবার গোসল দিতে হবে।

মৃত্যুর গোসলই নাপাকি ও ঋতুস্রাবের গোসলের জন্য যথেষ্ট হবে। কারণ গোসলের দুটি কারণ একত্রিত হয়েছে। সুতরাং নাপাকি কিংবা ঋতুস্রাব এবং মৃত্যুর জন্য একটি গোসলই যথেষ্ট।

যেভাবে বায়ু নির্গমন, পেশাব, গভীর ঘুম ইত্যাদি ওজুর একাধিক কারণ একত্রিত হলে এসবগুলোর জন্য একটি ওজুই যথেষ্ট।” (কাশশাফুল ক্বিনা ২/৮৭)

◍ নওবী রাহ. বলেন,


مذهبنا أن الجنب والحائض إذا ماتا غسلا غسلا واحدا , وبه قال العلماء كافة إلا الحسن البصري فقال : يغسلان غسلين . قال ابن المنذر : لم يقل به غيره ” انتهى


“আমাদের অভিমত হল, নাপাক পুরুষ ও ঋতুমতি নারী যদি মারা যায় তাহলে একবার গোসল দিতে হবে। হাসান বসরি ছাড়া সব আলেমই এ মত ব্যক্ত করেছেন। Gosol

শুধু হাসান বসরি রহ. বলেন, দু বার গোসল দিতে হবে। ইবনুল মুনযির বলেন, হাসান বসরি ছাড়া আর কেউ এ কথা বলে নি।” [আল মাজমু ৫/১২৩]

◍ শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায রহ বলেন,


يغسل عن نية الجنابة، وعن نية الموت، يكفي غسل واحد

“নাপাকি ও মৃত্যুর নিয়তে একবার গোসল দেয়াই যথেষ্ট।” [শাইখের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট]
আল্লাহু আলাম।

গোসল করে পবিত্র হওয়ার নিয়ম

যথাযথভাবে এ ৩ কাজ আদায় না করলে গোসলের ফরজ আদায় হবে না। কাজ তিনটি হলো-

১. কুলি করা । (বুখারি, ইবনে মাজাহ) Gosol

২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, ইবনে মাজাহ)

৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। (আবু দাউদ)

তবে ফরজ গোসল শুরু করার সর্বোত্তম নিয়ম হলো-

১. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْم) বলে গোসল শুরু করা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে ‘বিসমিল্লাহ’ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না।

২. হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।

৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা প্রস্রাব করে নেওয়া। এতে নাকাপি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে। Gosol

৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া।

৫. ওজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের ওজুর মতো ওজু করে নেওয়া।

৬. এরপর ফরজ গোসলের তিন কাজ-
কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে।

৭. পা ধোয়া। সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

প্রশ্ন: ঘুমের মধ্যে অশ্লীল বা খারাপ কোন স্বপ্ন দেখলে কি মেয়েদের উপরও গোসল ফরজ হয়?


উত্তর:
পুরুষ হোক অথবা নারী হোক যদি ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষ হয় এবং ঘুম থেকে উঠে বীর্য বের হওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় তাহলে তার উপর গোসল ফরজ হবে। Gosol


হাদিসে এসেছে,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ; أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ – وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ – قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحِي مِنَ الْحَقِّ, فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ الْغُسْلُ إِذَا احْتَلَمَتْ? قَالَ: «نَعَمْ. إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ». الْحَدِيثَ. مُتَّفَقٌ


উম্মে সালামা রা. হতে বর্ণিত, আবু তালহা এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম বলেন, হে আল্লাহর রসূল, আল্লাহ হক কথায় লজ্জাবোধ করেন না। স্বপ্নদোষ হলে নারীর উপরও কি গোসল ফরজ হয়?


তিনি বললেন, “হ্যাঁ, যদি সে পানি (বীর্য) দেখে।” [বুখারি ও মুসলিম]
এখান থেকে বুঝা গেল, যদি ঘুমের মধ্যে যৌন ক্রিয়া বা অশ্লীল কিছু দেখে কিন্তু তাতে বীর্যপাত না হয় তাহলে তাতে গোসল ফরজ হবে না।


আল্লাহু আলাম।

প্রশ্ন: মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? স্বপ্নদোষ হলে মেয়েদের উপর গোসল কি ফরজ হয়?

উত্তর:

প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ যে কারো স্বপ্নদোষ হতে পারে। যদি স্বপ্নদোষ হওয়ার পর বীর্যস্খলিত হয় তাহলে তাতে গোসল ফরয হবে। আর যদি কেবল স্বপ্ন দেখে কিন্তু বীর্যপাত না হয় তাহলে তাতে গোসল ফরয হবে না।

প্রশ্নঃ স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য কি ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা বৈধ নয়?

উত্তরঃ Gosol

স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা অবৈধ নয়। যা অবৈধ, তা হল, নামায, কা’বা-ঘরের তওয়াফ, মসজিদে অবস্থান, কুরআন স্পর্শ ও তিলাঅত। এ ছারা অন্যান্য কাজ বৈধ।

একদা আবূ হুরাইরা এর সাথে মহানবী (সঃ) এর মদীনার এক পথে দেখা হল।

সে সময় আবূ হুরায়রা অপবিত্রাবস্থায় ছিলেন। তিনি সরে গিয়ে গোসল করে এলেন। নবী (সঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় গিয়েছিলে আবূ হুরায়রা!” তিনি বললেন, ‘আমি অপবিত্র ছিলাম।

তাই সেই অবস্থায় আপনার সাথে বসাটাকে অপছন্দ করলাম।’ নবী (সঃ) বললেন, “সুবহানাল্লাহ! মু’মিন অপবিত্র হয় না।”

(বুখারী ২৭৯, মুসলিম ৩৭১ নং) অর্থাৎ মুসলিম অভ্যান্তরিকভাবে অপবিত্র হলেও বাহ্যিকভাবে সে অপবিত্র হয় না বা অস্পৃশ্য হয়ে যায় না।

স্বামী স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কের পরে গোসল না করে অন্য কোন কাজ করতে পারবে কিনা

ফরজ গোসল না করলে কি হবে জেনে নিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *