সূরা আলাক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি ও অডিওসহ

সূরা আলাক বাংলা উচ্চারণ, আরবি উচ্চারন বাংলায় অনেক সময় ভুল থাকে। তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, যখন বাংলায় উচ্চারন শিখবেন তখন অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে নিবেন। আর যদি কেউ আরবি দেখে পড়তে না পারেন তাহলে অবশ্যই অডিও শোনে বাংলার সাথে মিলিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে

সূরা আলাক
সূরা আলাক

অডিও Download

সূরা আলাক বাংলা উচ্চারণ

  1. ٱقْرَأْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلَّذِى خَلَقَ
    ইকরা বিছমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক।
    পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন Proclaim! (or read!) in the name of thy Lord and Cherisher, Who created-
  2. خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِنْ عَلَقٍ
    খালাকাল ইনছা-না মিন ‘আলাক।
    সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
    Created man, out of a (mere) clot of congealed blood:
  3. ٱقْرَأْ وَرَبُّكَ ٱلْأَكْرَمُ
    ইকরা’ ওয়া রাব্বুকাল আকরাম
    পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু,
    Proclaim! And thy Lord is Most Bountiful,-
  4. ٱلَّذِى عَلَّمَ بِٱلْقَلَمِ
    অল্লাযী ‘আল্লামা বিলকালাম।
    যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,
    He Who taught (the use of) the pen,-

5.. عَلَّمَ ٱلْإِنسَٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
‘আল্লামাল ইনছা-না-মা-লাম ইয়া‘লাম।
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।
Taught man that which he knew not.

  1. كَلَّآ إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لَيَطْغَىٰٓ
    কাল্লাইন্নাল ইনছা-না লাইয়াতগা।
    সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে,
    Nay, but man doth transgress all bounds,
  2. أَن رَّءَاهُ ٱسْتَغْنَىٰٓ
    আররাআ-হুছ তাগনা।
    এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
    In that he looketh upon himself as self-sufficient.
  3. إِنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلرُّجْعَىٰٓ
    ইন্না ইলা-রাব্বিকার রুজ‘আ।
    নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে।
    Verily, to thy Lord is the return (of all).
  4. أَرَءَيْتَ ٱلَّذِى يَنْهَىٰ
    আরাআইতাল্লাযী ইয়ানহা
    আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে
    Seest thou one who forbids-
  5. عَبْدًا إِذَا صَلَّىٰٓ ‘
    আবদান ইযা-সাল্লা।
    এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে?
    A votary when he (turns) to pray?
  6. أَرَءَيْتَ إِن كَانَ عَلَى ٱلْهُدَىٰٓ
    আরাআইতা ইন কা-না ‘আলাল হুদা।
    আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
    Seest thou if he is on (the road of) Guidance?-
  7. أَوْ أَمَرَ بِٱلتَّقْوَىٰٓ
    আও আমারা বিত্তাকাওয়া।
    অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়।
    Or enjoins Righteousness?
  8. أَرَءَيْتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰٓ
    আরাআইতা ইন কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা।
    আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
    Seest thou if he denies (Truth) and turns away?
  9. أَلَمْ يَعْلَم بِأَنَّ ٱللَّهَ يَرَىٰ
    আলাম ইয়া‘লাম বিআন্নাল্লা-হা ইয়ারা।
    সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন?
    Knoweth he not that Allah doth see?
  10. كَلَّا لَئِن لَّمْ يَنتَهِ لَنَسْفَعًۢا بِٱلنَّاصِيَةِ
    কাল্লা-লাইল্লাম ইয়ানতাহি লানাছফা‘আম বিন্না-সিয়াহ।
    কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
    Let him beware! If he desist not, We will drag him by the forelock,-
  11. نَاصِيَةٍ كَٰذِبَةٍ خَاطِئَةٍ
    না-সিয়াতিন কা-যিবাতিন খা-তিআহ।
    মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ।
    A lying, sinful forelock!
  12. فَلْيَدْعُ نَادِيَهُۥ
    ফালইয়াদ‘উ নাদিয়াহ,
    অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক।
    Then, let him call (for help) to his council (of comrades):
  13. سَنَدْعُ ٱلزَّبَانِيَةَ
    ছানাদ‘উঝঝাবা-নিয়াহ।
    আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে
    We will call on the angels of punishment (to deal with him)!
  14. كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَٱسْجُدْ وَٱقْتَرِب ۩
    কাল্লা- লা-তুতি‘হু ওয়াছজু দ ওয়াকতারিব। (সিজদা-১৫)
    কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন। (সিজদা-১৫)
    Nay, heed him not: But bow down in adoration, and bring thyself the closer (to Allah)!

সূরা বাইয়্যিনাহ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি ও অডিওসহ

সূরা যিলযাল বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি ও অডিওসহ

ফজিলত

হযরত আলী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) এই সূরা “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” কে ভালবাসতেন।

(আহমদ)

ব্যাখ্যা: হুজুর (সা.) সূরা আলাকে এই জন্য ভালবাসতেন যে, ঐ সূরার মধ্যে এই আয়াত রয়েছে: ” ইন্না- হাযা লাফিসসুহুফিল উলা- সুহুফি ইব্রাহীমা ওয়া মুসা-”

আয়াতের অর্থ: এই সূরার সব বিষয়বস্ত অথবা সর্বশেষ বিষয়বস্তু (অর্থাৎ পরকাল উৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী হওয়া) পূর্ববর্তী সহিফা সমূহেও লিখিত আছে।

অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও মুসা (আ.) এর সহীফা সমূহের থেকে কোরআনুল কারীমের সত্যতা প্রমাণ, এবং ইহুদি ও খৃষ্টানদের ভ্রান্ত মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ইব্রাহীমী সহিফার বিষয়বস্ত: হযরত আবু জর গিফারী (রা.) রাসূল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করলেন, ইব্রাহীম (আ.) এর সহীফা কীরূপ ছিল? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এসব সহিফায় শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছিল।

তন্মধ্যে এক দৃষ্টান্তে অত্যাচারী বাদশাকে সম্বোধন করা বলা হয়েছে “হে ভুঁইফোড় গর্বিত বাদশাহ! আমি তোমাকে ধনেশ্বর স্তুপীকৃত করার জন্য রাজত্ব দান করিনি। বরং আমি তোমাকে এই জন্য শাসন ক্ষমতা অর্পণ করেছি, যাতে তুমি উৎপীড়িত বদদোয়া আমার পর্যন্ত পৌছতে না দাও। কেননা, আমার আইন এই যে, আমি উৎপীড়িত দোয়া প্রত্যাখ্যান করি না। যদিও তা কাফেরের মুখ থেকে হয়।

অপর এক দৃষ্টান্তে সাধারণ মানুষকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে: বুদ্ধিমানের কাজ হলো নিজের সময়কে তিনভাগে বিভক্ত করা।

আরও পড়ুন: সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

একভাগ তার পালনকর্তার ইবাদত ও তার সাথে মুনাজাতকে। একভাগ আত্নসমালোচনা ও আল্লাহর মহা শক্তি এবং কারিগরি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা, এবং এক ভাগ জীবিকা উপার্জনের ও স্বাভাবিক প্রয়োজনাদি মেটানো। বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য এই যে, সে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল থাকবে, উদ্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং জিহবার হেফাজত করবে।

যে ব্যক্তি নিজের কথাকেও নিজের কর্ম বলে মনে করে, তার কথা খুবই কম হবে এবং কেবল জরুরী বিষয়ে সীমিত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *