জ্বীন জাতি | জ্বীন তাড়ানোর নামে যৌন নির্যাতন | জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস

জ্বীন কি ?

জ্বীন জাতি সম্পর্কে অনেক কথাই আছে।এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে যে জীবজন্তুর মধ্যে কেবল জ্বীন-ইনসানের বিচার হবে। অবশ্য নের অস্তিত্ব নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেন। আবার অনেকে বিশ্বাস করলেও মুহূর্তে আবার অলৌকিকতার আওতায় ফেলে বেমালুম নয়-ছয় চিন্তা

করতে থাকেন। এ জিনের সম্বন্ধে কোরআনে একটি সম্পুর্ণ সূরা,সূরা আল্-জ্বীন (৭২নং সূরা) অবর্তীর্ণ হয়েছে। জিনদের গঠনমূলক কায়া সূক্ষ্ম ও অবিমিশ্র। সাধারণত জিন জাতি কয়েক শ্রেণীর আওতাভুক্ত- যেমন: ক) জিন (সাধারণ জিন)। খ) আমির (যারা মানুষের সাথে থাকে)।

জ্বীন জাতি

জ্বীন জাতি


গ) আরওয়াহ (যারা মানুষের সম্মুখে বিভিন্ন সুরতে আবির্ভূত হয়। ঘ) শয়তান (যারা সৃষ্টিরকর্তার অবাধ্য, ঔদ্ধত ও অহংকারী।
ঙ) ইফরীত্ব (যারা অনেক সময় শয়তানের চেয়ে ভয়ংকর)। চ) ক্বারিন (মানব প্রজাতির সঙ্গে সহাবস্থানকারী জ্বিন) এরা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে

সার্বক্ষণিক অবস্থান করে| এর কাজ হল মানুষকে খারাপ কাজে প্রভাবিত ও উদ্বুদ্ধ করা| কুরআন এবং হাদীসের মতে জিনদের
তৈরি করা হয়েছে ধোঁয়াবিহীন আগুন (আরবি শব্দ- ‘নার’) হতে। ‘নার’ শব্দটির কয়েকটি অর্থ আছে। ইবনে আব্বাসের (রাঃ) মতে, নার বলতে

অগ্নিশিখার শেষ প্রান্ত বোঝানো হয়েছে। অন্য অনেকে মনে করেন, এর মানে হচ্ছে বিশুদ্ধ আগুন। আবার কেউ কেউ একে তড়িৎ- চুম্বকীয় তরঙ্গ বা অন্য কোনো তরঙ্গ-জাতীয় অস্তিত্ব বলে থাকেন। ইসলামী বিশ্বাস মতে, জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানবজাতির আগে। বলা হয়েছে, মানবজাতির

আবির্ভাবের আগে জিনরাই এই পৃথিবীতে রাজত্ব করত; পরে অবাধ্যতার অপরাধে এদেরকে উৎখাত করা হয়েছে; তাই বর্তমানে এরা পৃথিবীতেই নির্জন
স্থানসমূহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। ক্রিয়াপদ জান্না,ইয়াজুন্নুঃ – যে গুলির অর্থ অন্তরালে রাখা,আত্মগোপন করা অথবা ছদ্মবেশে পরানো ইত্যাদি

হতে প্রাপ্ত জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থের উপর নির্ভর করে তারা দাবি করে যে জিন হচ্ছে আসলে “চতুর বিদেশী”। অন্যেরা এমনও দাবী করে যে,যাদের
মগজে কোন মন নেই এবং স্বভাবে অগ্নি প্রকৃতির তারাই জিন। প্রকৃতপক্ষে জিন আল্লাহর অপর একটি সৃষ্টি যারা এই পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে সহ-

More…

মানুষ ও জিন জাতির ঘটনা | জিন সম্পর্কে 9 তথ্য | pdf বই ডাউনলোড

বৃষ্টিপাত কমার আভাস

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জীবনী

আগস্ট মাসের আজান ও নামাজের সময়সূচি

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/ভাষণ | ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে

জাতীয় শোক দিবস কি | শোকের মাস শুরু কবে | আজ জাতীয় শোক দিবস

রিজিক সম্পর্কে হাদিস | রিজিক কী | রিজিক কত প্রকার

জ্বীন তাড়ানোর নামে যৌন নির্যাতন


অবস্থান করে। আল্লাহ মানবজাতি সৃষ্টির পূর্বে জিন সৃষ্টি করেন এবং তিনি মানুষ সৃষ্টির উপাদান হতে ভিন্নতর উপদানের সমষ্টি দিয়ে জিন সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ “আমি তো মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি ছাঁচে-ঢালা শুষ্ক ঠনঠনে মৃত্তিকা হইতে। এবং ইহার পূর্বে সৃষ্টি করিয়াছি জিন অত্যুষ্ণ বায়ুর

উত্তাপ হইতে।” [সূরা আল্-হিজর ১৫:২৬,২৭] তাদের জিন নামকরণ করা হয়েছে কারণ তারা মানব জাতির চোখের অন্তরালে রয়েছে। ইবলিশ (শয়তান) জিন জগতের,যদিও আল্লাহ যখন আদমকে সিজদা করার হুকুম দিয়েছিলেন তখন সে ফেরেশতাদের মধ্যে অবস্থান


করছিল। যখন সে সিজদাহ করতে অসম্মত হল এবং তাকে তার অবাধ্যতার কারণ জিজ্ঞেস করা হল। যে সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
”সে বললঃ আমি তার চেয়ে উত্তম আপনি আমাকে আগুনের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।” [ সূরা সাদ ৩৮:৭৬ ]


আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা দেন যে রাসূল (সঃ) বলেছেন, “ফেরেশতাদের আলো হতে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং জিনদের ধুম্রবিহীনঅগ্নি হতে।” [মুসলিম কর্তৃক
সংগৃহীত Sahih Muslim, enlgish trans, vol. 4 p.1540 , no. 7134] আল্লাহ আরও বলেনঃ “এবং স্মরণ কর,আমি যখন ফেরেশতাগণকে

বলিয়াছিলাম আদমের প্রতি সিজদা কর,তখন সকলেই সিজদা করিল ইবলীস ব্যতীত,সে জিনদিগের একজন।” [সূরা আল্-কাহ্ফ ১৮:৫০]
সুতরাং তাকে প্রত্যাখ্যাত ফেরেশতা অথবা ফেরেশতাদের একজন মনে করা ভুল হবে। জিনদের অস্তিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণতঃ তাদেরকে তিন

শ্রেণীর ভাগ করা যেতে পারে । রাসুল (সঃ) বলেন, “তিন রকম জিন আছেঃ এক রকম যারা সারাক্ষণ আকাশে উড়ে, অন্য আর এক রকম যারা সাপ এবং কুকুর হিসাবে বিদ্যমান এবং পৃথিবীর উপর বসবাসকারী আর এক রকম যারা একস্থানে বাস করে অথবা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়।” [আত্

তাবারী এবং আল্-হাকিম কর্তৃক সংগৃহিত] বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে জিনদের আবার দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়ঃ মুসলিম (বিশ্বাসীগণ) এবং কাফির (অবিশ্বাসীগণ)। আল্লাহ সূরা আল-জিন এ বিশ্বাসী জিনদের সম্বন্ধে বলেনঃ “বল,আমার প্রতি প্রেরিত হইয়াছে যে,জিনদিগের একটি দল

জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস

মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে,আমারাতো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবন করিয়াছি। যাহা সঠিক পথ -নির্দেশ করে;ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদিগের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদিগের প্রতিপালকের

মর্যাদা, তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্মী এবং না কোন সন্তান। এবং যে আমাদিগের মধ্যকার নির্বোধরা আল্লাহর সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত।” [ সুরা আল্-জিন ৭২:১-৪ ] “আমাদিগের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী;যাহারা আত্মসমর্পণ


করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্য পথ বাছিয়ে লয়। অপরপক্ষে,সীমালংঘনকারী তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।” [সুরা আল্-জিন ৭২:১৪-১৫]
জিনদের মধ্যে অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়ঃ ইফরিত্, শয়তান, ক্বারিন, অপদেবতা, অশুভ আত্মা, আত্মা, ভুতপ্রেত ইত্যাদি।


তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে। যারাই তাদের কথা শুনে এবং তাদের জন্য কাজ করে তাদেরকেই মানব শয়তান বলে উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ বলেছেনঃ “এইরূপে মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদিগকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছি।” [সুরা-আল্-আন্’আম ৬:১১২]


প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে স্বতন্ত্র একজন করে জ্বীন রয়েছে যাকে ক্বারিন (সঙ্গী) বলা হয়। এটা মানুষের এই জীবনের পরীক্ষার অংশ বিশেষ।
জিনটি তাকে সর্বদা অবমাননাকর কামনা-বাসনায় উৎসাহিত করে এবং সার্বক্ষণিকভাবে তাকে ন্যায়- নিষ্ঠা হতে অন্য দিকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করে।

জ্বীন কি সত্য ?


রাসুল (সঃ) এই সম্পর্ককে এভাবে বর্ণনা দিয়েছেন, “তোমাদের প্রত্যেককে জ্বীনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih

MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p.1540 , no. 7134] “সুলায়মানের সম্মুখে সমবেত করা হইল তাহার
বাহিনীকে-জিন,মানুষ ও বিহংগকুলকে এবং উহাদিগকে বিন্যস্ত করা হইল বিভিন্ন ব্যূহে।” [সুরা আন-নামল ২৭:১৭] কিন্তু অন্য কাউকে এই ক্ষমতা

প্রদান করা হয় নাই। অন্য কাউকে জ্বীন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি এবং কেউ পারেও না। রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“যথার্থই গত রাতে জিনদের মধ্যে হতে একজন ইফরিত (একটি বলিষ্ঠ অথবা খারাপ জিন)” আমার সালাত ভেঙ্গে দেবার জন্য থু থু নিক্ষেপ করেছিল।

যাহোক আল্লাহ তাকে পরাভূত করতে আমাকে সাহায্য করেন এবং যাতে তোমরা সকালে তাকে দেখতে পারো সে জন্য তাকে আমি মসজিদের একটি স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ভ্রাতা সোলাইমানের দোয়া মনে পড়লঃ “হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে দান

জীন কি আগুন ভয় পায় ?

কর এমন এক রাজ্য যাহার অধিকারী আমি ছাড়া কেহ না হয়।” [সুরা সাদ ৩৮:৩৫] মানুষ জিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম নয় কারণ এই বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা শুধু পয়গম্বর সোলায়মানকে দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, আছর অথবা ঘটনাক্রম ছাড়া জিনদের সাথে যোগাযোগ হওয়া বেশীর ভাগ

সময়ই নিষিদ্ধ বা ধর্মদ্রোহী কাজের মাধ্যমেই হয়। [আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস্ এর Ibn taymeeyah`s Essay on the Jinn:: রিয়াদ তৌহিদ প্রকাশনী,১৯৮৯,পৃ.২১] এভাবে তলব করে আনা দুষ্ট জিন তাদের সঙ্গীদের গুনাহ করতে এবং স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারে। তাদের

লক্ষ্য হল স্রষ্টা ছাড়া অথবা স্রষ্টার পাশাপাশি অন্যকে উপাসনা করার মত গুরুতর গুনাহ করতে যত বেশী জনকে পারা যায় তত জনকে আকৃষ্ট
করে। একবার গণকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি হয়ে গেলে, জিন ভবিষ্যতের সামান্য কিছ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানাতে পারে। রাসুল (সাঃ) বর্ণনা

দিয়েছেন জিনরা কিভাবে ভবিষ্যত সম্বন্ধে সংবাদ সংগ্রহ করে। তিনি বর্ণনা দেন যে, জিনরা প্রথম আসমানের উপর অংশ পর্যন্ত ভ্রমণ করত এবং ভবিষ্যতের উপর কিছু তথ্যাদি যা ফিরিশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত তা শুনতে সক্ষম হত। তারপর তারা পৃথিবীতে ফিরে এসে তাদের পরিচিত

জিন কাকে বলে ?

মানুষের কাছে ঐ তথ্যগুলি পরিবেশন করত।আল্- বুখারী এবং মুসলিম কতৃর্ ক সংগৃহীত। [ Sahih Muslim, Englishtrans, vol.4, p.1210, no, 5538] মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত এই ধরণের বহু ঘটনা সংঘটিত হত। এবং গণকরা তাদের তথ্য প্রদানে নির্ভূল ছিল। তারা রাজকীয়

আদালতে আসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।এমনকি পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে তাদের পুজাও করা হত।
রাসুল (সাঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচার শুরু করার পর হতে অবস্থার পরিবর্তন হয়। আল্লাহ ফিরিশতাদের দিয়ে আসমানের নীচের এলাকা সতর্কতার সঙ্গে

পাহাড়া দেবার ব্যবস্থা করলেন। তারপর হতে বেশীরভাগ জিনদের উল্কা এবং ধাবমান নক্ষত্ররাজি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হত। আল্লাহ এই
বিস্ময়কর ঘটনা কোরআনের ভাষায় বর্ণনা করেছ্নেঃ “এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর

হরী ও উল্কা পিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ ;আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্ত এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জলন্ত উল্কা পিন্ডের সম্মুখীন হয়।” [সূরা আল-জ্বিন ৭২:৮-৯] আল্লাহ আরও বলেনঃ “প্রত্যেক অভিশপ্ত

শয়তান হইতে আমি উহাকে রক্ষা করিয়া থাকি; আর কেহ চুরি করিয়া সংবাদ শুনিতে চাহিলে উহার পশ্চাদ্ধাবন করে প্রদীপ্ত শিখা।” [সূরা আল হিজর ১৫:১৭-১৮] ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “যখন রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর একদল সাহাবা উকাধ বাজারের দিকে রওয়ানা হলেন, তখন শয়তানদের ঐশী

জিন কাকে বলে বাংলা ?

খবরাখবর শোনায় বাধা প্রদান করা হল। উল্কাপিন্ড তাদের উপর ছেড়ে দেয়া হল। ফলে তারা তাদের লোকদের কাছে ফিরে এল। যখন তাদের লোকরা জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছিল, তারা তাদের জানালো। কেউ কেউ পরামর্শ দিল যে নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছে, কাজেই তারা কারণ খুজে বের করার জন্য

পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। তাদের কয়েকজন রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবাগণের সালাত রত অবস্থা দেখতে পেল এবং তারা তাদের কোরআন
পড়া শুনলো। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল যে নিশ্চয় এটাই তাদের শোনায় বাধা প্রদান করেছিল। যখন তারা তাদের লোকদের মধ্যে ফিরে গেল

তখন তারা বলল, “আমরা তো এক বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করিয়াছি। যাহা সঠিক পথ নির্দেশ করে, ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি।
আমরা কখনও আমাদিগের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না।” [সুরা আল জিন ৭২:১-২] [ আল্-বুখারী, মুসলিম, আত্ তিরমিজী এবং আহমদ

কর্তৃক সংগৃহীত।Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.6, pp.415-6.no.443 and Sahih Muslim, English trans, vol.1, pp.243-44, no, 908] এইভাবে রাসূল (সাঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচারের পূর্বে জ্বীনরা যেভাবে সহজে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে খবরাখবর সংগ্রহ করত তা আর আর পারেনি।


কারণে তারা এখন তাদের খবরাখবরের সঙ্গে অনেক মিথ্যা মিশ্রিত করে। রাসুল (সাঃ) বলেন, “জাদুকর অথবা গনকের মুখে না পৌছান পর্যন্ত
তারা (জিনরা) খবরাখবর নীচে ফেরত পাঠাতে থাকবে। কখনও কখনও তারা খবর চালান করার আগেই একটি উল্কা পিন্ড তাদের আঘাত প্রাপ্ত করার


পূর্বে পাঠাতে পারলে এর সঙ্গে তারা একশটা মিথ্যা যোগ করবে। [আল্-বুখারী, মুসলিম এবং আত্ তিরমিজী কর্তৃক সংগৃহীত। Sahih Al- Bukhari,

Arabic-English, vol.8, p.150 , no.232] আয়শা (রাঃ) তখন উল্লেখ করলেন যে গণকরা কখনও কখনও যা বলে সত্য হয়। রাসুল (সঃ) বলেন,
‘‘ওতে সত্যতার কিছু অংশ যা জিনরা চুরি করে এবং তার বন্ধুর কাছে বলে কিন্তু সে এর সাথে একশটি মিথ্যা যোগ করে। ”আয়েশা বর্ণনা দেন যে তিনি

আল্লাহর রাসূলের (সঃ) কাছে গণকদের সম্বন্ধে জিজ্ঞসা করলে তিনি উত্তর দেন যে ওরা কিছু না। [আল্-বুখারী এবং মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত। Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.1, p.439.no.657 and Sahih Muslim, English trans, vol.4, p.1209,no, 5535] একদিন উমর ইবনে আল

জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়

খাত্তাব যখন বসে ছিলেন তখন একটি সুদর্শণ লোক তার পাশ দিয়ে চলে গেলে তিনি বললেন, আমার যদি ভূল না হয় লোকটি এখনও প্রাক ইসলামি ধর্ম অনুসরণ করছে অথবা বোধ হয় সে তাদের একজন গণক। তিনি লোকটি কে তার সামনে আনতে নির্দেশ দিলেনএবং তিনি তার অনুমান সম্পর্কে

জিজ্ঞাস করলেন।, লোকটি উত্তর দিল, আমি আজকের মত আর কোন দিন দেখিনি যেদিন মুসলিম এই ধরণের ভিযোগের সম্মূখীন হয়েছে। উমর (রাঃ) বললেন,অবশ্যই আমাকে তামার অবহিত করা উচিত। লোকটি তখন বলল, অজ্ঞতার যুগে আমি তাদের গণক ছিলাম। ঐ কথা শুনে উমর

জিজ্ঞাসা করলেন,তোমার মহিলা জিন তোমাকে সব চেয়ে বিস্ময়কর কি বলেছে। লোকটি তখন বলল,একদিন আমি যখন বাজারে ছিলাম,সে (মহিলা জ্বীন)উদ্বিগ্ন হয়ে আমার কাছে এসেছিল এবং বলেছিলমর্যাদাহানি হবার পর তুমি কি জিনদের হতাশাগ্রস্থঅবস্থায় দেখনি? তুমি কি দেখনি তাদেরকে

(জিনদেরকে)মাদী উট ও তাতে আরোহণকারীদের অনুসরণ করতে?উমর বাধাদান পূর্বক বললেন,এটা সত্য।[আল্-বুখারী কর্তৃক সংগৃহীত।

Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.5, p.131-2. no.206]জিনরা তাদের সাথে যোগাযোগরক্ষাকারী মানুষকে আপতঃ ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অবহিতকরতে সক্ষম।উদাহরণস্বরূপ,যখন কেউ একজন গণকেরকাছে আসে সে আসার আগে কি কি পরিকল্পনা গ্রহণকরেছিল তা গণকের জিন

মানুষের ওপর জিনের প্রভাব আছে কি ?

আগত লোকটির ক্বারিনের(প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে নিয়োজিত জিন) কাছথেকে জিন জেনে নেয়। সুতরাং গণকলোকটিকে বলতে সক্ষম হয়যে সে এটা করবে অথবা অমুক অমুক জায়গায় যাবে। এইপ্রক্রিয়ায় একজন সতিকার গণক অপরিচিত লোকের অতীত পরির্পূণ ভাবে জানতে সক্ষম হয়।

সে একজনঅচেনা ব্যক্তির পিতামার নাম, কোথায় জন্ম গ্রহণকরেছিল এবং তার ছেলে বেলার আচারণইত্যাদি সম্বন্ধে বলেতে সক্ষম হয়। অতীতসম্বন্ধে পরিপূর্ণ বর্ণনা দেবার ক্ষমতা জিন এরসঙ্গে মুহুর্তের মধ্যে বহু দুরত্ব অতিক্রমকরতে এবং গোপন বিষয় হারানো জিনিস,অদেখা ঘটনা বলি সম্বন্ধে বহু

তথ্যাদি সংগ্রহ করতেওসক্ষম।কোরআনে বর্ণিত পয়গম্বর সুলায়মান এবং সিবাররাণী বিলকিসের গল্পে মধ্যে এই ক্ষমতারসত্যতা পাওয়া যায়।যখন রাণী বিলকিসেরগল্পে এলেন,তিনি একটি জিনকে রাণীর দেশ থেকে তারসিংহাসন নিয়ে আসতে বললেন। এক শক্তিশালী জিনবলল,আপনি আপনার স্থান

হইতে উঠিবারপূর্বে আমি উহা আনিয়া দিব এবং এইব্যাপারে আমি অবশ্যই ক্ষমতাবান বিশ্বস্ত। [সূরা আননামল, ২৭:৩৯]উল্লেখ্য যে, আরব্য রজনীর কাহিনীর মতো সবসময়জিন অসাধ্য সাধন করতে পারে না। কেননা ঝড়-বাদলেরদিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনেরতৈরি বিধায় বৃষ্টির

জ্বীন/ভূত বা কোনো কিছু কি মানুষের ক্ষতি কre

সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতেরতীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোনঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবুথাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করারক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর একটি কথা মানুষমাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এরমধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।

কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি,বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ। আর তাই জিন আগুনেরশিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থেরসমাবেশ লক্ষণীয়। এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো: রসুল (স.)একদা উল্লেখ করেছিলেন যে, শয়তান বলে একটি জিনএকদা নামাজের সময় তাঁরসাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐজিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জ্বিনেরথুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন।

এতে প্রতীয়মান হয়
যে, জ্বীন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠাণ্ডা থুথুরথাকার কথা নয়। এদিকে জিন তিন প্রকারের আওতায়বিদ্যমান, প্রথমত. জমিনের সাপ, বিচ্ছু,

পোকা-মাকড়,ইত্যাদি; দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেইপ্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব। পূর্বেইবলেছি, এরা সূক্ষ্ম, তাই

স্থূল মানুষ বা পশু-পাখি জিনদের দেখতে পারে না। তবে কুকুর ও উট এদেরহুবহু দেখতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে,রাতে কোন অপরিচিত বস্তু বা জীবচোখে না দেখা গেলেও কুকুর কি যেন দেখে ছুটাছুটি ওঘেউ ঘেউ করলে তাতে জ্বিনের আবির্ভাবহয়েছে বলে বুঝতে হবে। জিন বহুরূপী।

এরা মানুষ, পশু-পাখি, ইত্যাদি যে কোন সুরত ধরতে পারে। সেইক্ষণে উক্ত জীবের বৈশিষ্ট্যের আদলে তার ঘনত্ব কম-বেশি হয়ে থাকে এবং মানুষের দৃষ্টির মধ্যে আসে।

Tag;

জ্বীন জাতি,জ্বীন তাড়ানোর নামে যৌন নির্যাতন,জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস,জ্বীন কি সত্য ?,জীন কি আগুন ভয় পায় ?,জিন কাকে বলে ? ,জিন কাকে বলে বাংলা ? ,জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়,মানুষের ওপর জিনের প্রভাব আছে কি ?,জ্বীন/ভূত বা কোনো কিছু কি মানুষের ক্ষতি কre,

মানুষ ও জিন জাতির একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *